অ্যাডমিট কার্ডহীন এসএসসি: উখিয়ার শিক্ষার্থীদের কান্না আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্রই তুলে ধরে

 

আজ

শিক্ষার্থী,

১০ এপ্রিল, ২০২৫। বাংলাদেশজুড়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রতিটি শিক্ষার্থী, প্রতিটি পরিবার এই দিনে অপেক্ষা করে থাকে বহুদিন ধরে—স্বপ্নের শুরুটা এখান থেকেই। কিন্তু কক্সবাজারের উখিয়ার একটি স্কুলের সামনে আজ দেখা গেল একেবারেই ভিন্ন চিত্র।

সকালবেলা স্কুলে এসে শিক্ষার্থীরা দেখে বিদ্যালয়ের গেটে তালা। হাতে নেই অ্যাডমিট কার্ড। মুহূর্তেই কান্নায় ভেঙে পড়ে অনেকে। পরে সেই কান্না রূপ নেয় বিক্ষোভে। শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসে, অবরোধ করে রাস্তা। এ যেন এক দুঃস্বপ্ন—যেখানে শিক্ষার আলো নয়, আঁধার ছড়িয়ে পড়ে।

কেন এমন হলো?

একটি অ্যাডমিট কার্ড সময়মতো শিক্ষার্থীর হাতে না পৌঁছানো শুধু একটি কাগজের বিষয় নয়। এটি একজন ছাত্র বা ছাত্রীর ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে—কোন দায়িত্বশীলতার অভাবে এমন হলো? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিল?

💔 এই ঘটনার মানসিক প্রভাব

যে কিশোর-কিশোরীরা বছরের পর বছর ধরে একটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, তারা যদি পরীক্ষার দিন গিয়ে স্কুলের তালাবদ্ধ গেট দেখে, তাদের মনোজগত কীভাবে ভেঙে পড়ে, তা ভাষায় বোঝানো কঠিন। কান্নায় ভেঙে পড়া ছাত্রছাত্রীদের দৃশ্য কোনো নির্মম সিনেমার নয়—এটা বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতা আমাদের লজ্জিত করে।

📢 আমাদের করণীয় কী?

এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—শুধু পাস-ফেল নয়, শিক্ষার সঙ্গে আছে দায়িত্ব, সময়ানুবর্তিতা এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতা। এখনই সময়, এই ধরনের গাফিলতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার। একইসঙ্গে ডিজিটালাইজেশন ও স্বচ্ছতার পথে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে।

🌱 শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো সময় এখনই

এই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। তাদের কান্না থামাতে হলে আমাদের গাফিলতি থামাতে হবে। স্কুল প্রশাসন, বোর্ড কর্তৃপক্ষ, এবং সরকার—সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই গড়ে উঠতে পারে একটি নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ এবং শিক্ষার্থী-সহায়ক শিক্ষা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *