শিরোনাম: এনসিপি নেতা শিশিরের কণ্ঠে ক্ষোভ: "বর্তমান সংবিধান ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সময় শেষ হয়ে এসেছে"
বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এনসিপি (ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি) নেতা শিশির। সম্প্রতি এক আলোচনায় তিনি জোরালোভাবে দাবি করেছেন, দেশের বর্তমান সংবিধান ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আর কার্যকর নয়। তাঁর মতে, এই কাঠামো এখন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
শিশিরের বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। রাজনীতি এখন কিছু গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে, যেখানে গণতন্ত্রের প্রকৃত চেহারাই হারিয়ে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাও প্রশ্নবিদ্ধ — একধরনের নিস্তেজ ও অনুৎসাহী পরিবেশে মানুষ এখন ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বর্তমান রূপ সময়োপযোগী নয়। একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনমুখী সংবিধানের প্রয়োজন আছে, যেখানে নাগরিক অধিকার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। শিশিরের দাবি, দেশে একটি নতুন জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন, যেখানে সব শ্রেণির মানুষ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজ একত্র হয়ে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করবে।
শিশিরের এই বক্তব্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, যদিও তাঁর দল এখনো বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি নয়, তবে তাঁর বক্তব্য দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রতিফলন।
বর্তমানে বাংলাদেশ এক জটিল সময় পার করছে — রাজনৈতিক স্থবিরতা, আস্থার সংকট, ও সামাজিক বিভাজন দৃশ্যমান। এই প্রেক্ষাপটে শিশিরের মতো নেতাদের বিকল্প চিন্তাধারা হয়তো ভবিষ্যতের একটি সম্ভাব্য দিক নির্দেশ করতে পারে।
শেষকথা:
সময়ের দাবি একটাই — দেশের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে পুরোনো কাঠামো পুনঃমূল্যায়নের সাহস দেখাতে হবে। এনসিপি নেতা শিশির যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, তা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।