সম্প্রতি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি আবারও খবরের শিরোনামে। তবে এবার সিনেমা নয়, এক গৃহকর্মীর অভিযোগ ঘিরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিষয়টি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। পরীমনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং একে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বলে অভিহিত করেছেন।
অভিযোগ কী?
পরীমনির বাসার গৃহকর্মী পিংকি আক্তার অভিযোগ করেছেন, পরীমনি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। জানা যায়, পরীমনির ছোট ছেলেকে খাবার খাওয়ানোর সময় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীমনি নাকি তার ওপর চড়াও হন। গৃহকর্মী পিংকি এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
পরীমনির প্রতিক্রিয়া
অভিযোগ ওঠার পর, পরীমনি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। লাইভে তিনি বলেন:
"যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু সেটা প্রমাণ হওয়ার আগেই তাকে দোষী বানিয়ে ফেলা ঠিক নয়। মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করা হোক।"
পরীমনি আরও জানান, তার হাতে ঘটনার প্রমাণ রয়েছে এবং তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় এই মিথ্যা অভিযোগের জবাব দেবেন বলেও জানান।
মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ শব্দটি আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, কোনও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে দোষী বলে ট্যাগ করে দেওয়াটা এক ধরণের সামাজিক অবিচার। এতে শুধু ব্যক্তি নয়, তার পরিবার, কর্মজীবন এবং মানসিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুটি ভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ পরীমনির পক্ষে, আবার কেউ গৃহকর্মীর অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে ন্যায়বিচার দাবি করছেন।
শেষ কথা
একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। তবে বিষয়টি আইনিভাবে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারও সম্মান নষ্ট করা বা সমাজে হেয় করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পরীমনি যদি সত্যি নির্দোষ হন, তবে তার সম্মান ফিরে পাওয়া উচিত। আর যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে উপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
আপনি কি মনে করেন মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হওয়া উচিত? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।